চা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। যারা ব্ল্যাক টি খান তারা সাধারণত দুই ধরণের চা কেনেন। গুঁড়া চা আর না হলে পাতা চা। অনেকেই চায়ের সুগন্ধের জন্য চা পাতা খেতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু এই দুই ধরণের চায়ের প্রভাব শরীরের ওপর কেমন তা অনেকেরই অজানা।
এই দু’ধরনের চা পাতা কীভাবে প্রস্তুত করা হয়, তার ওপর এর গুণগত মান অনেকটাই নির্ভর করে। গুঁড়ো চা বা সিটিসি চা প্রস্তুত করতে খুব কম সময় লাগে। বাগান থেকে তোলার পরে যন্ত্রের মধ্যে চা পাতা দেওয়া হয়। সেখানে সেগুলো শুকিয়ে গুঁড়া করা হয়। চা পাতার বেশ কিছু উপাদান এতে থেকে যায় যার জন্য কড়া স্বাদ হয়।
অন্য দিকে পাতা চা প্রস্তুত করতে দীর্ঘ সময় লাগে। এই কাজটি যন্ত্রের মাধ্যমে করা যায় না। কর্মীদের এই কাজটি নিজেদেরই করতে হয়। বাগান থেকে পাতা তোলার পরে সেগুলোর বেশ কিছু উপাদান পাতন প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে তার কড়া ভাব কেটে যায়। এর পরে এগুলো শুকিয়ে নেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে সেঁকেও নেওয়া হতে পারে।
পাতা চায়ে ক্যাটেচিন, আইসোফ্লাভন, পলিফেনলের মতো যৌগ থাকে। এর মধ্যে গুঁড়ো চায়ে ক্যাটেচিন, আইসোফ্লাভনের মাত্রা খুব কম। পলিফেনলের পরিমাণ পাতা চায়ের মতোই।
• পাতা চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা গুঁড়া চায়ের চেয়ে অনেক বেশি।
ফলে এটি শরীরকে বেশি মাত্রায় দূষণ মুক্ত করে।
• পাতা চা হদ্রোগের আশঙ্কা কমায়।
• পাতা চা স্নায়ুকে আরাম দেয়। মন শান্ত করে। গুঁড়া চা কিছুটা হলেও স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।
• পাতা চায়ে ট্যানিনের পরিমাণ তুলনায় কম থাকে। তাই ঘুম কমায় না এই চা। গুঁড়া চা বেশি পরিমাণে খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
• গুঁড়া চা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। পাতা চা খেলে তার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় শরীরের জন্য গুঁড়া চায়ের তুলনায় পাতা চা বেশি ভালো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।